কথিত আছে, সকাল বলে দেয় সারা দিন কেমন কাটবে। কথাটা শতভাগ সত্যি। তবে এর সঙ্গে আরও অনেক বিষয় জড়িত থাকে। সারা দিন ভালো থাকার সব দায়িত্ব দিনের প্রথমভাগের ওপর দিয়ে নিজেকে দায়মুক্ত রাখা যাবে না। কিছু দায়ভার নিজেকেও নিতে হবে।
মানুষ যখন সুন্দর পরিবেশে থাকে তখন নিজে ভালো থাকে এবং অন্যকেও ভালো রাখতে পারে। আর পরিবেশ যদি বসবাসের অযোগ্য হয় তা হলে নিজের সঙ্গে অন্যদেরও শান্তি নষ্ট হয়।
ঘুমানোর সময় প্রতিটি মানুষের আকাক্সক্ষা থাকতে পারে সুন্দর সুন্দর শব্দের সঙ্গে ঘুম থেকে জেগে ওঠার। কখনো তা পূর্ণ হয়, আবার কখনো তা শুধুই ইচ্ছেই থেকে যায়। কেউ কেউ ঘুম থেকে জেগে ওঠে ঘড়ি অথবা মোবাইলের অ্যালার্ম শুনে। এই তো শুরু হয়ে গেল শব্দের সঙ্গে দিনযাপনের প্রথম পাঠ। আমরা চাইলেই জীবন থেকে শব্দকে বাদ দিতে পারব না, কারণ শব্দ দিয়ে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সচেতন থাকতে হবে শব্দ যেন আমাদের অবদমন না করে।
আমরা দেখি, ঢাকা শহরে প্রায়ই দেখা যায় ফাঁকা রাস্তায় বিকট শব্দে হর্ন বাজিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটছে গাড়ি ও বাইক। পুরো রাস্তা প্রায় খালি থাকার পরও হর্ন বাজায় অনেক চালক। কারণে-অকারণে হর্ন বাজানোর প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। অন্যের কান ঝালাপালা হলেও চালকের যেন তাতে কিছু এসে যায় না। তাদের ধারণা গাড়ি চালনার সঙ্গে হর্ন বাজানোর একটি নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান।